- আমাদের সম্পর্কে
-
আমাদের সেবা
প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ
পরিদর্শন
-
অন্যান্য কার্যালয়
মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধিদপ্তর
- ই-সেবা
- গ্যালারি
-
যোগাযোগ
যোগাযোগ ম্যাপ
- মতামত
- আমাদের সম্পর্কে
-
আমাদের সেবা
প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ
পরিদর্শন
-
অন্যান্য কার্যালয়
বিভাগ/জেলা
মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধিদপ্তর
- ই-সেবা
- গ্যালারি
-
যোগাযোগ
অফিস যোগাযোগ
যোগাযোগ ম্যাপ
-
মতামত
মতামত ও পরামর্শ
দেশে ৩য় বারের মতো জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে আজ। সারা দেশের ন্যায় কুতুবদিয়া উপজেলায়াও যথাযোগ্য মর্যাদায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সহযোগীতায় দিবসটি পালিত হয়। দিবসটির এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “ পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন” । স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের তথ্য-উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফলে ১৯৭৪ সালের ২৬ আগস্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা তৎকালীন চারটি পরিসংখ্যান সংস্থাকে একীভূত করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সঠিক, সময়োপযোগী ও মানসম্মত পরিসংখ্যান প্রস্তুত করে দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসাবে বিবিএস অফিসিয়াল পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। জনশুমারি, কৃষিশুমারি, অর্থনৈতিক শুমারিসহ বিভিন্ন রকম সার্ভে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে থাকে বিবিএস। জাতীয় ও স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে নিয়োজিত পরিকল্পনাবিদ, নীতিনির্ধারক, সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও এবং জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংকল্প, বিশ্লেষণ ও প্রকাশের দায়িত্ব বিবিএস নিয়মিতভাবে পালন করে আসছে।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিসংখ্যানের অপরিহার্যতা উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৯ সালের ২৫ অক্টোবর ঢাকার আগারগাঁওয়ে ২ একর ১৪ শতক জমির ওপর একটি সুদৃশ্য ও দৃষ্টিনন্দন পরিসংখ্যান ভবন উদ্বোধন করেন। অতঃপর ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়ণের অন্যতম শক্তি ‘পরিসংখ্যান ও তথ্যপ্রযুক্তি’ বিবেচনায় ২০১২ সালে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত ও গণমুখী করার লক্ষ্যে তিনি বিস্তৃত পরিসরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন ‘পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ’।
পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, তথা এর আইনগত ভিত্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘পরিসংখ্যান আইন ২০১৩’ জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়। দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান উন্নয়নে জাতীয় কৌশলপত্র (NSDS) অনুমোদন করা হয়। NSDS হলো পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণীত একটি বিস্তারিত, বাস্তবসম্মত, অংশগ্রহণমূলক, পরিবর্তনশীল ও রাষ্ট্রীয় স্বত্বাধীন পরিকল্পনা দলিল।
বিভিন্ন বিষয়ে অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। এটি শুধু কথার কথা নয়; সঠিক পরিসংখ্যানভিত্তিক নির্ভরযোগ্য তথ্যের আলোকে আজ আমরা উন্নয়নের সূচকগুলো অর্জন করে চলেছি। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশকে বলা হয়ে থাকে এমডিজি বাস্তবায়নের রোল মডেল। এ সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে আগামীতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
এসডিজি পরিবীক্ষণে ডাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হালনাগাদ ও Disaggregated Data প্রস্তুতে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কাজ করছে। এসডিজির ২৩১টি সূচকের মধ্যে ১০৫টির উপাত্তই প্রদান করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৪টি সূচকের উপাত্ত প্রদান করবে। অর্থাৎ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২৩১টি সূচকের মধ্যে মোট ১০৯টি সূচকের উপাত্ত প্রদান করবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বহির্বিশ্বের সঙ্গে মানসম্মত তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। পরিসংখ্যান আইন পাশের ফলে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (NSO) হিসাবে বিবিএস একটি সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। সঠিক ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান প্রণয়নে জনগণকে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ আবশ্যক। তাই পরিসংখ্যানকে আরও জনকল্যাণমুখী ও মানুষের দোরগোড়ায় উপস্থাপনের জন্য একটি জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস খুবই প্রয়োজন।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস হিসাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ৮ জুন ২০২০ সোমবার বেলা ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে যথারীতি অনুমতি নিয়ে প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালনের প্রস্তাবনা উপস্থাপন কর হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস হিসাবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৪ মার্চ ২০১৮ তারিখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিসংখ্যান সরবরাহের ক্ষেত্রে বিবিএসসহ সব উপাত্ত সরবরাহকারী মন্ত্রণালয়-বিভাগ-সংস্থার মধ্যে কার্যকরী সমন্বয়ের সুবিধার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ অনুমোদন ক্রমে সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নেতৃত্বে ৫০ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় উপাত্ত সমন্বয় কমিটি (National Data Coordination Committee- NDCC) গঠন করা হয়েছে। ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এসডিজিসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত প্রাপ্তির লক্ষ্যে তথ্য সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে এ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নির্ভুল ও সময়োচিত পরিসংখ্যান প্রণয়নে বিবিএস সংশ্লিষ্ট সবার আস্থা ও প্রশংসা অর্জনসহ দেশের অফিসিয়াল পরিসংখ্যান প্রস্তুতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সঠিক পরিসংখ্যান চর্চার আকাঙ্ক্ষায় শুরু হোক আগামীর স্বপ্ন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস
কারিগরি সহায়তায়:
সফটওয়্যার তৈরি:
